সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় সদর মডেল থানার এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান পিপিএম এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমানের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জেলা ঈদগা মাঠে তার জানাজায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাজা হাজার মাদ্রাসা ছাত্ররা অংশ নেন। উল্লেখ্য গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মাদ্রাসা ছাত্র মো মাসুদুর রহমান নিহত হয়। এদিকে মাসুদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার পর মাদ্রাসা শিক্ষার্ধীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র শহরের টিএ রোড, কুমারশীলের মোড়, লোকনাথ ট্যাঙ্কের পাড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের ব্যাংক এশিয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা আওয়ামীলীগ অফিস, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এবং সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়। বিক্ষুব্দরা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খার স্মৃতি বিজরিত বিভিন্ন সংগীতের যন্ত্রাদী পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে রেললাইনে আগুন দেয়া হয়। এতে ঢাকার সাথে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা লাঠি হাতে নিয়ে সদর হাসপাতাল ভাংচুর চালায় ও পুলিশের একপি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সদর মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ ও ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস প্রত্যাহার হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে হরতাল প্রত্যাহার করে নিয়েছে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাত ৮টায় তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মাদ্রাসায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন তারা। মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, আমাদের প্রথম দাবী ছিলো এই ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার। সেটি পূরণ হওয়ায় আমরা হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী আমরা জানিয়েছি।